মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল উদ্বোধন করা হয় ১৩ সেপ্টেম্বর২০১৮।হোটেলে ২৭২টি কক্ষ থাকলেও সংস্কারের পর ইন্টারকন্টিনেন্টালে কক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩১টি।

১৯৬৬ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল এ দেশের প্রথম পাঁচতারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের। এর ডিজাইনার ছিলেন স্থপতি উইলিয়াম বি ট্যাবলার।একাত্তরের ২৫ মার্চের আগে ৭০-এর নির্বাচন,ঘূর্নিঝরের সময়েও হোটেলটি বিদেশি সাংবাদিকদের একটা কেন্দ্র ছিল। ১৯৭১সালেএই হোটেলটি রেডক্রস জোন হিসেবে স্বীকৃত ছিল।

লডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ-এর সাংবাদিক সাইমন ড্রিং ঢাকা এসেছিলেন ৬ মার্চ ১৯৭১।২৫শে মার্চের কালোরাতে বন্দুকের মুখে যখন বিদেশি সাংবাদিকদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আটক করাহচ্ছিল, সাইমন ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের আলোকচিত্রী মাইকেল লরেন্ট হোটেলেরছাদে আশ্রয় নিয়ে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারের হাত থেকে রেহাই পান ।তৎকালীন পাকিস্তানে সামরিক আইনের তোয়াক্কা না করে ২৭ মার্চ তিনিমুক্তিযুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করেডেইলি টেলিগ্রাফপত্রিকায় প্রতিবেদন আকারে প্রেরণ করেন যাট্যাংকস ক্র্যাশ রিভোল্ট ইন পাকিস্তান শিরোনামে ৩০ মার্চ প্রকাশিত হয়।

১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে এখানেই দুই দফা আক্রমণ চালিয়েছিলেন সেক্টর ২ এরঅধীন ক্র্যাক প্লাটুন খ্যাতগেরিলারা। ১৭ জন(প্রাথমিক প্রশিক্ষিত)তরুণের মুক্তিযোদ্ধার দল বাঙালি জাতির মুক্তি এবং পশ্চিম পাকিস্তানিহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঢাকায় প্রথম গেরিলা অপারেশন ‘অপারেশন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-হিটএন্ড রান’ চালাতে আসেন। অত্যন্ত সফল এ অভিযানের মাধ্যমেই মূলত বাঙালির প্রতিরোধ যুদ্ধসম্পর্ক জানতে সক্ষম হয় পুরো পৃথিবী।পাঁচ হতে ছয় জনের এক একটি গ্রুপ তৈরী করে হিট এন্ড রান পদ্ধতিতে ঝটিকা আক্রমণ করে এই গেরিলা দলটি অপারেশনে অংশ নিতো।ঢাকা শহরে তাঁরা মোট ৮২টি অপারেশন পরিচালনা করেন।